বিগ ডেটা ও পর্যটন: আপনার ভ্রমণকে অসাধারণ করার গোপন সূত্র

webmaster

빅데이터와 관광 - **Prompt:** A young, diverse traveler (mid-20s, dressed in stylish casual wear, e.g., jeans, a sweat...

পর্যটন শিল্পে আজকাল বিগ ডেটা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, তাই না? এটা শুধু একটা প্রযুক্তিগত শব্দ নয়, আমার মনে হয় আমাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে পুরোপুরি বদলে দিচ্ছে। আমি তো নিজেও অবাক হয়ে যাই কিভাবে আমাদের ছোট ছোট পছন্দগুলো, আমরা কোথায় যাচ্ছি, কী দেখছি – সব কিছু মিলে একটা বিশাল তথ্যভান্ডার তৈরি হচ্ছে। আর এই ডেটা থেকেই বের হয়ে আসছে এমন সব দারুণ জিনিস, যা আগে কখনো কল্পনাও করা যেত না!

এখন আর কেবল টিকিট কেটে বেরিয়ে পড়লেই হয় না, বরং ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আমাদের জন্য সেরা অফার, ব্যক্তিগতকৃত ভ্রমণের পরিকল্পনা আর নতুন নতুন গন্তব্য খুঁজে বের করা হচ্ছে। ভাবছেন তো, এটা কিভাবে আমাদের উপকার করছে?

(Isn’t Big Data being talked about a lot in the tourism industry these days? It’s not just a technical term, I think it’s completely changing our travel experience.

I myself am amazed at how our small choices, where we are going, what we are seeing – all combine to create a huge database. And from this data, all sorts of wonderful things are emerging, which were never imagined before!

Now it’s not just about buying a ticket and going, but using data analytics to find the best offers, personalized travel plans, and new destinations for us.

Thinking about how this is benefiting us?)বিগ ডেটা কিন্তু শুধু বড় বড় কোম্পানির লাভের জন্য নয়, এটি আমাদের মতো সাধারণ পর্যটকদের জন্যও দারুণ সব সুবিধা নিয়ে আসছে। যেমন ধরুন, আপনি হয়তো ভাবছেন এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাবেন, আর বিগ ডেটা আপনাকে আপনার আগের ভ্রমণের ইতিহাস, আপনার পছন্দের খাবারের ধরন, এমনকি আপনার বাজেট অনুযায়ী সেরা কিছু জায়গা বাতলে দিল। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যখন আমি এমন ব্যক্তিগতকৃত সুপারিশ পাই, তখন ভ্রমণের পরিকল্পনা করাটা অনেক সহজ আর আনন্দময় হয়ে ওঠে। এর ফলে আমাদের সময় বাঁচে, অযথা খরচ কমে, আর ভ্রমণের আনন্দ অনেক গুণ বেড়ে যায়। আজকাল তো অনেক জায়গাতেই বিগ ডেটার সাহায্যে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হয়, পরিবেশ রক্ষা করা হয়, আর জরুরি পরিস্থিতিতেও দ্রুত সাহায্য পাওয়া যায়। সত্যিই, ডেটার এই শক্তি আমাদের ভ্রমণকে আরও স্মার্ট, নিরাপদ আর উপভোগ্য করে তুলছে। নিচে আমরা বিস্তারিতভাবে জানব বিগ ডেটা কিভাবে পর্যটন শিল্পকে বদলে দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এর আরও কী কী চমক দেখার আছে। (Big Data is not just for the profit of big companies, it is bringing great benefits for ordinary tourists like us.

For example, suppose you are thinking about where to go this winter, and Big Data suggests some of the best places for you based on your previous travel history, your preferred food type, and even your budget.

From my own experience, I can say that when I get such personalized recommendations, planning a trip becomes much easier and more enjoyable. This saves us time, reduces unnecessary expenses, and increases the joy of travel many times over.

Nowadays, Big Data is also used in many places to control crowds, protect the environment, and get quick help in emergencies. Indeed, the power of data is making our travel smarter, safer, and more enjoyable.

Below we will find out in detail how Big Data is changing the tourism industry and what more surprises it has in store for the future.)

আপনার ভ্রমণকে নিজের মতো করে সাজিয়ে তোলার জাদু

빅데이터와 관광 - **Prompt:** A young, diverse traveler (mid-20s, dressed in stylish casual wear, e.g., jeans, a sweat...

আগেকার দিনে আমরা যখন ভ্রমণের কথা ভাবতাম, তখন গাইডবুক বা ট্যুর এজেন্টের দেওয়া নির্দিষ্ট কিছু প্যাকেজই আমাদের ভরসা ছিল। কিন্তু এখনকার গল্পটা পুরোই আলাদা, তাই না? বিগ ডেটা যেন আমাদের মনের কথা পড়ে ফেলে, আমরা কী চাই, কোথায় যেতে ভালোবাসি, কোন ধরনের অভিজ্ঞতা আমাদের সবচেয়ে বেশি আনন্দ দেয় – এই সবকিছুই সে নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ করে। যেমন ধরুন, আপনি হয়তো পাহাড়ের চূড়ায় বসে সূর্যোদয় দেখতে পছন্দ করেন, আর আপনার অনলাইন কার্যকলাপও সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিগ ডেটা তখন আপনাকে শুধু দার্জিলিং বা সিমলার মতো পরিচিত জায়গার কথাই বলবে না, বরং এমন সব লুকানো রত্নের সন্ধান দেবে যা হয়তো আপনি নিজেও জানতেন না। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এমন ব্যক্তিগতকৃত সুপারিশ পেলে ভ্রমণের পরিকল্পনা করাটা অনেক বেশি সহজ আর আনন্দময় হয়ে ওঠে। এটা শুধু সময় বাঁচায় না, বরং ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও বিশেষ করে তোলে, কারণ আপনার পছন্দ অনুযায়ী সবকিছু সাজানো থাকে। এতে অযথা কোনো কিছুর জন্য আপস করতে হয় না, আর ভ্রমণের আনন্দ অনেক গুণ বেড়ে যায়। এটা যেন আপনার ব্যক্তিগত ভ্রমণ সহায়ক, যে আপনার রুচি আর বাজেট সবকিছু মাথায় রেখে সেরা বিকল্পটি আপনার সামনে তুলে ধরে।

পছন্দের গন্তব্যের হদিশ

বিগ ডেটার কল্যাণে ট্র্যাভেল কোম্পানিগুলো এখন আমাদের অতীত ভ্রমণের ইতিহাস, ইন্টারনেটে আমাদের সার্চ করা বিষয়গুলো, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করে আমাদের জন্য সবচেয়ে মানানসই গন্তব্যগুলো খুঁজে বের করতে পারে। ধরুন, আপনি হয়তো অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ, আর আপনার ইনস্টাগ্রাম ভর্তি আছে হাইকিং বা রাফটিংয়ের ছবিতে। ডেটা তখন আপনাকে এমন সব গন্তব্যের কথা বলবে যেখানে এই ধরনের রোমাঞ্চকর কার্যকলাপ করা সম্ভব। আমার বন্ধুদের মধ্যে দেখেছি, যারা নিরিবিলি সৈকত বা প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে, তাদের কাছে এমন সব রিসর্ট বা অফ-বিট জায়গার খবর চলে আসে যা সাধারণ ট্যুরিস্টদের চোখ এড়িয়ে যায়। এটা যেন আপনার মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা ইচ্ছাকে বের করে এনে সঠিক পথ দেখাচ্ছে। এর ফলে আমাদের পছন্দ আর প্রয়োজন অনুযায়ী এমন এক ভ্রমণের তালিকা তৈরি হয় যা আগে কখনোই সম্ভব ছিল না। এই প্রক্রিয়াটি আমাদের ভ্রমণের ধরনকে সম্পূর্ণরূপে পাল্টে দিয়েছে, এখন আমরা আরও আত্মবিশ্বাসের সাথে নতুন গন্তব্য নির্বাচন করতে পারি।

পুরো অভিজ্ঞতাকে ব্যক্তিগত রূপ দেওয়া

শুধু গন্তব্য নির্বাচন নয়, আপনার পুরো ভ্রমণের অভিজ্ঞতাটাকেই নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে বিগ ডেটা দারুণভাবে সাহায্য করে। ফ্লাইট বা ট্রেনের সময়, হোটেলের রুমের ধরন, স্থানীয় ট্যুর প্যাকেজ, এমনকি আপনার পছন্দের খাবারের রেস্টুরেন্ট – সবকিছুতেই আপনার ব্যক্তিগত পছন্দকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আমার শেষ ভ্রমণে আমি এমন একটি প্যাকেজ পেয়েছিলাম যেখানে আমার পছন্দের সব স্থানীয় খাবারের দোকান এবং ঐতিহাসিক স্থান অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা বিগ ডেটা অ্যানালাইসিস করে তৈরি করা হয়েছিল। এটা শুধু সময় বাঁচায় না, বরং ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও আনন্দময় এবং চাপমুক্ত করে তোলে। আমি নিশ্চিত, একবার আপনি এমন ব্যক্তিগতকৃত ভ্রমণের স্বাদ পেলে, আর কখনো পুরনো বা গতানুগতিক পদ্ধতিতে ফিরে যেতে চাইবেন না। এই ব্যক্তিগত ছোঁয়া আমাদের ভ্রমণের প্রতিটি দিনকে বিশেষ করে তোলে এবং এমন স্মৃতি তৈরি করে যা আমরা বছরের পর বছর লালন করি।

খরচ বাঁচিয়ে সেরা ডিল খুঁজে পাওয়ার সহজ উপায়

ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় বাজেট একটা বড় ব্যাপার, তাই না? আমরা সবাই চাই কম খরচে সেরা অভিজ্ঞতাটা পেতে। আর এখানেই বিগ ডেটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। রিয়েল-টাইম ডেটা অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে এটি বিভিন্ন ফ্লাইট, হোটেল আর ট্যুর প্যাকেজের দামের ওঠানামা পর্যবেক্ষণ করে। কখন টিকিট কিনলে সবচেয়ে সস্তা হবে, কোন হোটেলে অফ সিজনে ভালো ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে, বা কোন ট্যুর অপারেটর সেরা ডিল দিচ্ছে – এই সব তথ্য বিগ ডেটা আপনাকে আগে থেকেই জানিয়ে দেয়। আমি তো নিজেই অবাক হয়ে যাই যখন দেখি, আমার পছন্দের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সেরা ফ্লাইট ডিলটা আমার সামনে চলে আসছে, কারণ আমি আগে ওই গন্তব্য নিয়ে সার্চ করেছিলাম। এটা যেন একজন ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টার মতো কাজ করে, যে আপনাকে অপ্রয়োজনীয় খরচ থেকে বাঁচিয়ে সেরা সুযোগগুলো ধরিয়ে দেয়। এর ফলে আমাদের পকেট যেমন হালকা হয় না, তেমনি ভ্রমণের মানও বজায় থাকে। অনেক সময় এমন অপ্রত্যাশিত অফার চলে আসে যা আমাদের ভ্রমণের বাজেটকে আরও বাড়তি সুবিধা এনে দেয়, যা আগে কল্পনাও করা যেত না।

সেরা মূল্যের হদিশ

বিগ ডেটা ব্যবহার করে ট্র্যাভেল এজেন্সি এবং এয়ারলাইনসগুলো চাহিদা এবং সরবরাহের উপর ভিত্তি করে দামের পূর্বাভাস দিতে পারে। এর মানে হলো, তারা জানে কখন দাম বাড়বে বা কমবে, এবং সেই অনুযায়ী তারা আপনাকে সেরা মূল্যের অফার করতে পারে। আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তখন বিগ ডেটা আপনাকে জানিয়ে দেবে, এই গন্তব্যে ভ্রমণের জন্য কখন টিকিট কিনলে সবচেয়ে বেশি লাভজনক হবে। আমি দেখেছি, অনেকে এই কৌশল ব্যবহার করে বিশাল অঙ্কের টাকা বাঁচিয়ে নেয়। শুধু টিকিট নয়, হোটেল বুকিং এবং গাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রেও এটি দারুণ কাজ করে। এর ফলে আর ফিজিক্যাল ট্র্যাভেল এজেন্টদের কাছে ঘুরে ঘুরে সময় নষ্ট করতে হয় না, সব তথ্য এক ক্লিকেই আপনার সামনে চলে আসে।

বিশেষ অফার আর ছাড়

আপনার পূর্ববর্তী ভ্রমণ ডেটা এবং অনলাইন কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে বিগ ডেটা আপনার জন্য ব্যক্তিগতকৃত বিশেষ অফার এবং ছাড় নিয়ে আসে। ধরুন, আপনি ক্রুজ ট্রিপ পছন্দ করেন এবং আগে কখনো ক্রুজে ভ্রমণ করেছেন, তাহলে আপনার ইমেইলে বা ব্রাউজারে ক্রুজ কোম্পানির কাছ থেকে বিশেষ ছাড়ের অফার দেখতে পাবেন। আমি নিজেই দেখেছি, কিছু ওয়েবসাইটে কেবল আমার পছন্দের হোটেল চেইনের অফারগুলোই সামনে আসে, যা আমার জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। এই অফারগুলো এতটাই কাস্টমাইজড হয় যে মনে হয় যেন শুধু আমার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র টাকা বাঁচায় না, বরং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগও তৈরি করে যা হয়তো সাধারণ অফারগুলোতে পাওয়া যেত না।

Advertisement

ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরও নিরাপদ ও পরিবেশ-বান্ধব করে তোলা

নিরাপত্তা আর পরিবেশ সুরক্ষা এখন ভ্রমণের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এই দুটি ক্ষেত্রেই বিগ ডেটা আমাদের দারুণভাবে সাহায্য করছে। জনসমাগমপূর্ণ স্থানে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দেওয়া, বা কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাহায্য পাঠানো – সবকিছুতেই বিগ ডেটার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ধরুন, আপনি কোনো জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে আছেন, আর সেখানে হঠাৎ করে অতিরিক্ত ভিড় হয়ে গেল। বিগ ডেটা তখন সেখানকার লোকাল অথরিটিকে সতর্ক করে দেবে, যাতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে। আমার মনে হয়, এটি শুধু আমাদের নিরাপত্তাই নিশ্চিত করে না, বরং ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরও আরামদায়ক করে তোলে। কারণ, কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো গেলে ভ্রমণের আনন্দও বেড়ে যায়। পরিবেশের দিক থেকেও বিগ ডেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি পর্যটন কেন্দ্রগুলোর উপর পরিবেশগত প্রভাব নিরীক্ষণ করে এবং টেকসই পর্যটন প্রচারে সাহায্য করে, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খুবই জরুরি।

নিরাপত্তা ও জরুরী ব্যবস্থাপনা

বিগ ডেটা রিয়েল-টাইম ডেটা বিশ্লেষণ করে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এর ফলে অতিরিক্ত জনসমাগম হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়, যা অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা এড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, ঝড় বা ভূমিকম্পের মতো পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিতেও বিগ ডেটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি দেখেছি, অনেক সময় আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ডেটা অ্যানালাইসিস করে পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এর ফলে আমাদের ভ্রমণ আরও নিরাপদ হয়। জরুরি পরিস্থিতিতে, যেমন কোনো পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়লে বা হারিয়ে গেলে, বিগ ডেটা তার অবস্থান নির্ণয় করে দ্রুত সাহায্য পাঠাতে পারে। এই ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা আমাদের মানসিক শান্তি দেয় এবং ভ্রমণকে আরও নির্বিঘ্ন করে তোলে।

পরিবেশ সুরক্ষায় বিগ ডেটার ভূমিকা

পর্যটন শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব কমানোর ক্ষেত্রে বিগ ডেটার ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি পর্যটন কেন্দ্রগুলোর উপর পরিবেশের প্রভাব নিরীক্ষণ করে, যেমন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জল ব্যবহার এবং কার্বন নির্গমন। ডেটা অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে কোন এলাকায় পরিবেশের উপর বেশি চাপ পড়ছে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই ধরনের পদক্ষেপ আমাদের পৃথিবীটাকে আরও সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, জনপ্রিয় সৈকতগুলোতে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ কমাতে বা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পর্যটকদের আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করতে বিগ ডেটা ব্যবহার করা হয়। এর ফলে টেকসই পর্যটনের ধারণা আরও জোরদার হয় এবং আমরা সবাই আরও দায়িত্বশীল পর্যটক হতে পারি।

ব্যবসা আর পর্যটন শিল্পের জোট: ভবিষ্যতের পথচলা

পর্যটন শুধু আমাদের ব্যক্তিগত আনন্দই নয়, এটা একটা বিশাল শিল্প যা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকার উৎস। আর এই শিল্পকে আরও উন্নত করতে বিগ ডেটা এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ট্র্যাভেল কোম্পানিগুলো, হোটেল, এয়ারলাইনস – সবাই এখন বিগ ডেটা ব্যবহার করে তাদের পরিষেবা আরও উন্নত করছে। তারা জানতে পারছে গ্রাহকরা কী চায়, কোন ধরনের পরিষেবা তাদের কাছে বেশি আকর্ষণীয়, বা কোন নতুন ট্রেন্ড বাজারে আসছে। আমার মনে হয়, এই ডেটা-নির্ভর পদ্ধতি ব্যবসার জন্য খুবই লাভজনক, কারণ এতে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমে এবং গ্রাহকদের সন্তুষ্টি বাড়ে। এর ফলে তারা আরও ভালো অফার তৈরি করতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত আমাদের মতো পর্যটকদেরই সুবিধা দেয়। এই জোটের ফলে পর্যটন শিল্পে নতুন নতুন উদ্ভাবন দেখা যাচ্ছে, যা আমাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে প্রতিনিয়ত আরও উন্নত করছে। এটা কেবল লাভ-ক্ষতির হিসেব নয়, বরং একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা যা ভবিষ্যতের পর্যটনকে নতুন দিশা দেখাচ্ছে।

সেবার মান উন্নত করা

বিগ ডেটা ব্যবহার করে ট্র্যাভেল কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের ফিডব্যাক এবং অনলাইন রিভিউ বিশ্লেষণ করে তাদের সেবার মান উন্নত করতে পারে। ধরুন, আপনি একটি হোটেলে থেকেছেন এবং আপনার রুম সার্ভিস নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। আপনার রিভিউ ডেটাবেসে জমা হবে এবং হোটেল কর্তৃপক্ষ সেই ডেটা বিশ্লেষণ করে তাদের রুম সার্ভিস উন্নত করার চেষ্টা করবে। আমি দেখেছি, অনেক হোটেল এখন তাদের ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগতকৃত পরিষেবা অফার করে, যা আপনার পূর্ববর্তী পছন্দের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি শুধুমাত্র গ্রাহকদের সন্তুষ্টিই বাড়ায় না, বরং নতুন গ্রাহক আকৃষ্ট করতেও সাহায্য করে। এই ডেটা-চালিত পদ্ধতির কারণে গ্রাহক পরিষেবা এখন অনেক বেশি ব্যক্তিগত এবং কার্যকর হয়ে উঠেছে।

নতুন বাজারের সন্ধান

বিগ ডেটা বিশ্লেষণ করে নতুন পর্যটন প্রবণতা এবং বাজার খুঁজে বের করা যায়। কোন দেশ থেকে বেশি পর্যটক আসছে, তারা কোন ধরনের প্যাকেজ পছন্দ করছে, বা কোন নতুন গন্তব্য জনপ্রিয় হয়ে উঠছে – এই সব তথ্য ডেটার মাধ্যমে জানা সম্ভব। আমার মনে আছে, কয়েক বছর আগেও অফ-বিট গন্তব্যগুলো এত জনপ্রিয় ছিল না, কিন্তু এখন বিগ ডেটা অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে সেগুলোর প্রচার হচ্ছে এবং অনেকেই সেখানে যাচ্ছে। এর ফলে ট্র্যাভেল কোম্পানিগুলো নতুন নতুন ট্যুর প্যাকেজ তৈরি করতে পারে এবং নতুন বাজারের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। এটি অর্থনীতির জন্য খুবই ভালো, কারণ এটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে।

সুবিধা বিগ ডেটা কিভাবে সাহায্য করে
ব্যক্তিগতকৃত প্রস্তাবনা পূর্ববর্তী ভ্রমণ ডেটা, অনলাইন কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করে রুচিশীল গন্তব্য, হোটেল, কার্যকলাপের সুপারিশ।
মূল্য নির্ধারণের স্বচ্ছতা রিয়েল-টাইম চাহিদা ও সরবরাহের উপর ভিত্তি করে সেরা মূল্যের প্রস্তাবনা।
নিরাপত্তা ও জরুরী ব্যবস্থাপনা ভিড় নিয়ন্ত্রণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস, দ্রুত উদ্ধার অভিযানের পরিকল্পনা।
পরিবেশ সংরক্ষণ পর্যটন স্থানের উপর পরিবেশগত প্রভাব নিরীক্ষণ এবং টেকসই পর্যটন প্রচারে সহায়তা।
নতুন বাজারের সন্ধান অদেখা পর্যটন প্রবণতা চিহ্নিত করে নতুন গন্তব্য বা প্যাকেজ তৈরি।
Advertisement

ভবিষ্যতের ভ্রমণ: আরও স্মার্ট, আরও ব্যক্তিগত

빅데이터와 관광 - **Prompt:** A person (late 20s-early 30s, gender-neutral appearance, casually dressed in a smart shi...

ভবিষ্যতে আমাদের ভ্রমণ কেমন হবে, তা নিয়ে ভাবলে সত্যিই উত্তেজনা হয়। বিগ ডেটা আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মিলে এমন এক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা তৈরি করবে যা এখন হয়তো আমরা কল্পনাও করতে পারি না। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) আর অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR) এর সাহায্যে আমরা ঘরে বসেই বিশ্বের যেকোনো জায়গা ঘুরে দেখতে পারব, আর তারপর ডেটার উপর ভিত্তি করে আমাদের জন্য সেরা ফিজিক্যাল ভ্রমণের পরিকল্পনা করা হবে। আমার মনে হয়, ভবিষ্যৎ ভ্রমণ শুধু গন্তব্যে পৌঁছানো নয়, বরং যাত্রা পথটাকেও আরও আনন্দময় আর ইন্টারেক্টিভ করে তুলবে। আমরা হয়তো এমন সব অভিজ্ঞতা পাবো যা আমাদের ব্যক্তিগত রুচি এবং মেজাজ অনুযায়ী ১০০% কাস্টমাইজড হবে। এটি শুধু একটি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়, বরং আমাদের জীবনযাত্রার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, যেখানে ভ্রমণ আরও সহজলভ্য, নিরাপদ এবং স্মরণীয় হয়ে উঠবে। এই পরিবর্তনগুলো নিয়ে আমরা যত ভাবি, ততই মনে হয় যেন এক রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

ভার্চুয়াল আর অগমেন্টেড রিয়েলিটির সাথে ভ্রমণ

ভবিষ্যতে আমরা হয়তো কোনো গন্তব্যে যাওয়ার আগে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সেখানে ঘুরে আসতে পারব। বিগ ডেটা তখন আমাদের ভার্চুয়াল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে আমাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বাস্তব ভ্রমণের পরিকল্পনা তৈরি করবে। ধরুন, আপনি ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল ঘুরে দেখলেন এবং রিয়েল লাইফেও সেখানে যেতে চাইলেন। বিগ ডেটা তখন আপনার জন্য সেরা ট্যুর প্যাকেজ, থাকার জায়গা এবং কার্যকলাপের সুপারিশ করবে। অগমেন্টেড রিয়েলিটি আমাদের ভ্রমণের সময় বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে রিয়েল-টাইম তথ্য দিতে পারবে, যেমন কোনো ঐতিহাসিক স্থানের ইতিহাস বা কোনো রেস্টুরেন্টের বিশেষত্ব। আমার মনে হয়, এই প্রযুক্তিগুলো আমাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং আমাদের কৌতূহলকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যক্তিগত ভ্রমণ সহায়ক

ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ব্যক্তিগত ভ্রমণ সহায়ক আমাদের ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে সাহায্য করবে। এই সহায়কগুলো আমাদের পূর্ববর্তী ডেটা, পছন্দ এবং বাজেট বিশ্লেষণ করে ভ্রমণের পরিকল্পনা তৈরি করবে, বুকিং করবে, এমনকি ভ্রমণের সময় রিয়েল-টাইম সহায়তাও দেবে। ধরুন, আপনি বিমানবন্দরে আটকে আছেন কারণ আপনার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। আপনার AI সহায়ক তখন দ্রুত আপনার জন্য বিকল্প ফ্লাইট খুঁজে বের করবে, হোটেল বুক করবে এবং ট্যাক্সিও ডেকে দেবে। আমি নিশ্চিত, এই ধরনের সহায়ক আমাদের ভ্রমণকে সম্পূর্ণ চাপমুক্ত করে তুলবে। এর ফলে আমরা ভ্রমণকে আরও বেশি উপভোগ করতে পারব এবং অপ্রত্যাশিত সমস্যাগুলোর জন্য চিন্তা করতে হবে না।

পর্যটন শিল্পের গতিপথ বদল: নতুন দিগন্ত উন্মোচন

পর্যটন শিল্প প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে, আর এই পরিবর্তনের পেছনে বিগ ডেটার অবদান বিশাল। এটি শুধু একটি ট্রেন্ড নয়, বরং শিল্পের মৌলিক কাঠামোকে পরিবর্তন করছে। ছোট ট্র্যাভেল এজেন্সি থেকে শুরু করে বিশাল হোটেল চেইন – সবাই এখন ডেটা অ্যানালাইসিসকে তাদের ব্যবসার মূল অংশ হিসেবে দেখছে। এর ফলে তৈরি হচ্ছে নতুন ধরনের পণ্য ও পরিষেবা, যা আগে কখনো কল্পনাও করা যেত না। যেমন, কাস্টমাইজড ট্যুর প্যাকেজ, রিয়েল-টাইম অফার, বা ব্যক্তিগতকৃত ভ্রমণ পরামর্শ। আমার মতে, এই পরিবর্তনগুলো আমাদের মতো সাধারণ পর্যটকদের জন্য খুবই ভালো খবর, কারণ আমরা এখন আরও বেশি বিকল্প পাচ্ছি এবং আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সেরা পরিষেবাটা বেছে নিতে পারছি। এই গতিপথ বদল ভবিষ্যতে পর্যটন শিল্পকে আরও গতিশীল এবং জনমুখী করে তুলবে, যা আমাদের সবার জন্য এক দারুণ সুযোগ।

পর্যটন ব্যবসায় নতুন মডেল

বিগ ডেটা পর্যটন ব্যবসায় নতুন নতুন মডেল তৈরি করছে। আগে যেখানে সীমিত সংখ্যক ট্যুর অপারেটরদের আধিপত্য ছিল, এখন সেখানে ডেটা-চালিত প্ল্যাটফর্মগুলো ছোট ছোট ব্যবসাকেও সুযোগ করে দিচ্ছে। Airbnb এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো বিগ ডেটা ব্যবহার করে স্থানীয় অভিজ্ঞতার প্রচার করছে এবং ব্যক্তিগতকৃত বাসস্থান অফার করছে। আমার মনে হয়, এই ধরনের মডেলগুলো স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে এবং পর্যটকদের জন্য আরও বৈচিত্র্যময় বিকল্প তৈরি করে। এর ফলে কেবল বড় কোম্পানিগুলো নয়, বরং ছোট ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় জনগণও পর্যটন থেকে উপকৃত হচ্ছে। এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির মডেল, যা সবার জন্য সুযোগ তৈরি করছে।

উদ্ভাবনী পরিষেবা ও পণ্য

বিগ ডেটা অ্যানালাইসিস নতুন উদ্ভাবনী পরিষেবা এবং পণ্য তৈরিতে সহায়তা করছে। যেমন, কিছু কোম্পানি ডেটা ব্যবহার করে পর্যটকদের জন্য এমন সব গেম বা ইন্টারেক্টিভ অভিজ্ঞতা তৈরি করছে যা তাদের ভ্রমণকে আরও মজাদার করে তোলে। আবার কিছু সংস্থা পর্যটকদের স্বাস্থ্য ডেটা বিশ্লেষণ করে তাদের জন্য উপযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প বা ফিটনেস রুটিন অফার করছে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যখন কোনো পরিষেবা আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করা হয়, তখন আমি সেটার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হই। এই উদ্ভাবনগুলো শুধু আমাদের ভ্রমণকে আরও উন্নত করছে না, বরং একটি নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ ভবিষ্যৎ তৈরি করছে।

Advertisement

আমাদের ছোট ছোট পছন্দ থেকে বিশাল সম্ভাবনা: ডেটা কীভাবে কাজ করে

আমরা যখন অনলাইনে কিছু সার্চ করি, একটি হোটেল বুক করি, বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ছবি পোস্ট করি – তখন প্রতিটি ছোট ছোট কাজ ডেটা হিসেবে জমা হয়। ভাবছেন তো, এই ডেটা দিয়ে কী হয়? এই বিশাল ডেটা ভান্ডারকে বিগ ডেটা বলা হয়, আর এটিই আমাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলছে। ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে এই ডেটা থেকে প্যাটার্ন এবং ট্রেন্ড খুঁজে বের করা হয়। যেমন, কোন ধরনের মানুষ কোন গন্তব্যে যেতে পছন্দ করে, কোন সময়ে কোথায় ভিড় বেশি হয়, বা কোন ধরনের খাবারের চাহিদা বেশি। আমার নিজের মনে হয়, এই প্রক্রিয়াটা ঠিক যেন কোনো গোয়েন্দার কাজ, যে অসংখ্য সূত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করে আনে। এই তথ্যগুলো তখন ট্র্যাভেল কোম্পানিগুলো ব্যবহার করে আমাদের জন্য সেরা অফার, ব্যক্তিগতকৃত সুপারিশ এবং আরও ভালো পরিষেবা তৈরি করে। এটা যেন একটি অদৃশ্য শক্তি যা আমাদের ভ্রমণকে আরও সহজ, স্মার্ট এবং আনন্দময় করে তুলছে। প্রতিটি ক্লিক, প্রতিটি সার্চ – সবই ভবিষ্যতের একটি সুন্দর ভ্রমণের অংশ হয়ে উঠছে।

ডেটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ

বিগ ডেটা পর্যটকদের অনলাইন কার্যকলাপ, বুকিং হিস্টরি, সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট, এমনকি মোবাইলের লোকেশন ডেটা থেকেও তথ্য সংগ্রহ করে। এই বিপুল পরিমাণ ডেটা তারপর আধুনিক অ্যালগরিদম এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বিশ্লেষণ করা হয়। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায় পর্যটকদের রুচি, পছন্দ, এবং ভ্রমণের ধরণ সম্পর্কে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, এই নির্ভুল তথ্য বিশ্লেষণের কারণেই এখন আমরা এত ব্যক্তিগতকৃত অফার পাই। আগে এমনটা সম্ভব ছিল না, কারণ তখন ডেটা সংগ্রহ আর বিশ্লেষণের এমন উন্নত পদ্ধতি ছিল না। এই প্রক্রিয়াটি নিরন্তর চলতে থাকে, কারণ পর্যটকদের পছন্দ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয় এবং নতুন ট্রেন্ড তৈরি হয়।

ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতায় প্রভাব

সংগৃহীত এবং বিশ্লেষিত ডেটা সরাসরি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার উপর প্রভাব ফেলে। এটি আপনার জন্য সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন, ব্যক্তিগতকৃত ভ্রমণ প্যাকেজ, এবং আপনার রুচি অনুযায়ী হোটেলের সুপারিশ তৈরি করে। ধরুন, আপনি প্যারিস নিয়ে সার্চ করেছেন, এরপর আপনি হয়তো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্যারিসের হোটেল বা ট্যুর প্যাকেজের বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। আমার মনে হয়, এটি আমাদের সময় বাঁচায় এবং ভ্রমণের পরিকল্পনা করাকে আরও সহজ করে তোলে। এই ডেটা-নির্ভর পদ্ধতি আমাদের ভ্রমণকে আরও বেশি ব্যক্তিগত এবং অর্থপূর্ণ করে তোলে, কারণ এটি আমাদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয় যা আগে কখনো কল্পনাও করা যেত না।

글을마চি며

সত্যি বলতে, বিগ ডেটা আর প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আমাদের ভ্রমণের ধারণাটাই যেন নতুন করে সেজে উঠেছে। আগে যেখানে শুধু কল্পনাই করতাম, এখন সেখানে আমাদের হাতের মুঠোয় হাজারো সুযোগ। ব্যক্তিগতকৃত পরিকল্পনা থেকে শুরু করে খরচ বাঁচানো, এমনকি পরিবেশ সুরক্ষাতেও এর ভূমিকা অসীম। আমার নিজের মনে হয়, এই পরিবর্তনগুলো আমাদের জীবনকে আরও সহজ আর আনন্দময় করে তুলেছে। তাই আসুন, এই প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে আমরা সবাই আরও স্মার্ট আর দায়িত্বশীল পর্যটক হয়ে উঠি, আর নতুন নতুন গন্তব্যে আবিষ্কারের আনন্দ উপভোগ করি।

Advertisement

알া দুনেও সিলমো ইনো ফোর্মেশন

১. আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় সচেতন থাকুন: অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার আগে তাদের প্রাইভেসি পলিসি ভালোভাবে পড়ে নিন।

২. বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দাম তুলনা করুন: একই গন্তব্যের জন্য একাধিক ওয়েবসাইট বা অ্যাপে হোটেল, ফ্লাইট বা প্যাকেজের দাম যাচাই করে সেরা ডিলটি খুঁজে নিন।

৩. অফ-পিক সময়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন: জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোতে অফ-পিক সময়ে ভ্রমণ করলে খরচ যেমন কমে, তেমনি ভিড়ও এড়ানো যায়।

৪. রিভিউ ও রেটিং যাচাই করুন: কোনো হোটেল বা ট্যুর প্যাকেজ বুক করার আগে অন্য পর্যটকদের রিভিউ ও রেটিং দেখে নিন, এতে নির্ভরযোগ্যতা বাড়ে।

৫. পরিবেশ-বান্ধব ভ্রমণের অভ্যাস গড়ে তুলুন: স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় অংশ নিন।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সার সংক্ষেপ

বিগ ডেটা আমাদের ভ্রমণকে করে তুলছে আরও ব্যক্তিগত, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী। এটি আমাদের পছন্দ অনুযায়ী গন্তব্য খুঁজে পেতে, সেরা ডিল পেতে এবং অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে দ্রুত সমাধান পেতে সাহায্য করে। এছাড়াও, পরিবেশ সুরক্ষায় এবং টেকসই পর্যটন প্রচারে এর অবদান অনস্বীকার্য। এই নতুন প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের ভবিষ্যৎ ভ্রমণের দিগন্ত খুলে দিচ্ছে, যেখানে প্রতিটি যাত্রা হবে আরও স্মার্ট, আরও ব্যক্তিগত এবং আরও স্মরণীয়। আসুন আমরা সবাই এই সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে এক নতুন ভ্রমণ অভিজ্ঞতার অংশীদার হই।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: বিগ ডেটা আসলে কী আর পর্যটনে এর কাজটা কী?

উ: বিগ ডেটা মানেই হলো বিশাল আকারের তথ্যভান্ডার, যা এত দ্রুত গতিতে বাড়ছে আর এত বৈচিত্র্যময় যে সাধারণ ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এর গভীরে পৌঁছানো মুশকিল। ভাবুন তো, আমরা যখন কোথাও ঘুরতে যাই, তখন অনলাইনে টিকিট কাটি, হোটেল বুক করি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করি, কিংবা স্থানীয় রেস্তোরাঁয় গিয়ে বিল দিই – এই সব কিছুই কিন্তু ডেটা তৈরি করে। এই লাখ লাখ, কোটি কোটি ডেটা একত্রিত হয়েই তৈরি হয় বিগ ডেটা। পর্যটন শিল্পে এর কাজটা হলো এই অগোছালো ডেটাগুলো থেকে প্যাটার্ন বা ধরন খুঁজে বের করা। কোন রুটে বেশি মানুষ যাচ্ছে, কোন সময়ে কোন গন্তব্যের চাহিদা বাড়ছে, পর্যটকরা কোন ধরনের খাবার পছন্দ করছেন, এমনকি ভ্রমণ করার সময় তাদের বাজেট কেমন থাকে – এই সব কিছু বিগ ডেটার মাধ্যমে বোঝা যায়। এতে ট্যুর কোম্পানিগুলো আমাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন প্যাকেজ তৈরি করতে পারে, হোটেলগুলো কাস্টমারদের পছন্দ অনুযায়ী অফার দিতে পারে, আর এয়ারলাইনসগুলো টিকিটের দাম নির্ধারণ করতে পারে। এককথায়, বিগ ডেটা পর্যটকদের মনের কথা বুঝতে আর সেই অনুযায়ী পরিষেবা দিতে সাহায্য করে।

প্র: একজন সাধারণ পর্যটক হিসেবে বিগ ডেটা থেকে আমি কী কী সুবিধা পেতে পারি?

উ: একজন সাধারণ পর্যটক হিসেবে বিগ ডেটা থেকে আমরা অনেক দারুণ সুবিধা পাই, যা আমাদের ভ্রমণকে আরও সহজ আর আনন্দময় করে তোলে। প্রথমত, ব্যক্তিগতকৃত ভ্রমণ পরিকল্পনা। আমার নিজের মনে আছে, একবার আমি থাইল্যান্ডে ঘুরে আসার পর থেকেই বিভিন্ন ট্রাভেল সাইট আমাকে আমার পছন্দ অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও কিছু জায়গার দারুণ সব অফার দেখানো শুরু করল। এটা কিন্তু বিগ ডেটারই জাদু!
আপনার আগের ভ্রমণ ইতিহাস, আপনি কী ধরনের হোটেল পছন্দ করেন, বা আপনার বাজেট কত – এসব ডেটা বিশ্লেষণ করে আপনাকে আপনার জন্য সেরা ডিল আর গন্তব্যের সুপারিশ করা হয়। দ্বিতীয়ত, সময় এবং অর্থ সাশ্রয়। যখন আপনি এমন ব্যক্তিগতকৃত সুপারিশ পান, তখন আপনাকে আর ঘন্টার পর ঘন্টা ইন্টারনেটে ঘেঁটে সময় নষ্ট করতে হয় না। একই সাথে, বিগ ডেটা ব্যবহার করে এয়ারলাইনসগুলো ফ্লাইটের দাম ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে আমরা অনেক সময় কম দামে টিকিটও পেয়ে যাই। তৃতীয়ত, উন্নত নিরাপত্তা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণ। আজকাল অনেক স্মার্ট গন্তব্যে বিগ ডেটা দিয়ে পর্যটকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হয়, বিশেষ করে জনপ্রিয় স্থানগুলোতে। এতে আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আরও আরামদায়ক হয়। অপ্রত্যাশিত কোনো পরিস্থিতিতেও বিগ ডেটার সাহায্যে দ্রুত সহায়তা পাওয়া যেতে পারে। সত্যি বলতে, ডেটার এই বুদ্ধিমান ব্যবহার আমাদের ভ্রমণকে আরও নিরাপদ, সাশ্রয়ী আর মনমতো করে তুলছে।

প্র: ভবিষ্যতে বিগ ডেটা আমাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরও কিভাবে বদলে দেবে?

উ: ভবিষ্যতে বিগ ডেটা আমাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে কল্পনারও বাইরে নিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস! এখন আমরা যা দেখছি, সেটা তো কেবল শুরু। আমার মনে হয়, আগামীতে আমাদের ভ্রমণগুলো আরও বেশি ‘স্মার্ট’ আর ‘আমার পছন্দসই’ হয়ে উঠবে। ধরুন, আপনি কোনো নতুন শহরে পৌঁছালেন, আর আপনার মোবাইল অ্যাপ বা এমনকি একটি স্মার্ট চশমা আপনাকে রিয়েল-টাইমে শহরের সেরা খাবার দোকান, আপনার পছন্দের আর্ট গ্যালারি, বা স্থানীয় কোনো লুকানো রত্নের সন্ধান দিচ্ছে – আপনার রুচি আর আগের ডেটা বিশ্লেষণ করে!
এটা হবে হাইপার-পার্সোনালাইজেশন। বিগ ডেটার সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আর ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) যুক্ত হয়ে আমাদের জন্য ভার্চুয়াল ট্রাভেল অ্যাসিস্ট্যান্ট তৈরি করবে, যারা আমাদের ফ্লাইটের সময়সূচি থেকে শুরু করে গন্তব্যে পৌঁছানোর পর ট্যাক্সি বুকিং, সবকিছুর খেয়াল রাখবে। শুধু তাই নয়, ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রাজনৈতিক অস্থিরতার আগাম খবরও আমরা জানতে পারব, যাতে আমাদের ভ্রমণ আরও সুরক্ষিত হয়। এমনকি, আমার তো মনে হয়, স্মার্ট হোটেলগুলো আপনার ডেটা ব্যবহার করে আপনার রুমের তাপমাত্রা, আলোর সেটিং, এমনকি সকালের নাস্তার মেন্যুও আপনার পছন্দ অনুযায়ী ঠিক করে রাখবে!
ডেটা শুধু ব্যবসার জন্য নয়, আমাদের ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও মসৃণ, আনন্দময় এবং ব্যক্তিগত করে তোলার জন্য একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।

📚 তথ্যসূত্র

Advertisement